খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ পৌষ, ১৪৩১ | ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ বড়দিন’ আজ

অনুকূল পরিবেশে পাইকগাছায় সরিষার বাম্পার ফলন

পাইকগাছা প্রতিনিধি

আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশে খুলনার পাইকগাছায় এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রান্তর জুড়ে সরিষার ক্ষেত ভরে গেছে হলুদ ফুলে। মন মাতানো সুবাস আর ফুলে ফুলে মৌমাছির গুঞ্জণ কৃষকের মন আন্দোলিত করছে। একদিকে মধু আহরণে মৌমাছিরা মেতে উঠেছে বিরামহীন কর্মযজ্ঞে। অন্যদিকে নিজেদের সরিষা ফুলের সাথে স্মৃতির এ্যালবামে ধরে রাখতে কিশোর-কিশোরী ও যুবক-যুবতীরা ভিড় করছে সরিষার মাঠে। আমনের পর সরিষার ভাল ফলনে কৃষকের চোখে-মুখে বিরাজ করছে তৃপ্তির হাঁসি।

বৃষ্টি ও ঘন কুয়াশার চাপ না থাকায় এক কথায় আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশে সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষি বিভাগের পাশাপাশি কৃষকরা।

পাইকগাছা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৩২৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে বিনা চাষে সাথী ফসল হিসাবে ৬৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে কৃষকদের মধ্যে সরিষার বীজ ও সার সরবরাহের পাশাপাশি সঠিক তদারকিতে সরিষার আবাদ বেড়েছে বলেও দাবি কৃষি অফিসের।

তবে কৃষকরা জানান, সময় মত মাটিতে জো না আসায় সরিষার আবাদ কিছুটা দেরিতে শুরু হয়েছে। উপকূলের লবণাক্ত এলাকা চাষাবাদ অনেকটা প্রকৃতি ও আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে। তবে অন্যান্য এলাকায় মাটিতে আগাম জো আসলেও উপকূলীয় লবণাক্ত নিচু মাটিতে জো আসতে দেরি হয়।

উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে সরিষার চাষের উপযোগী ৪টি ইউনিয়ন গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি ও রাড়ুলি ইউনিয়নে সরিষার আবাদ হয়। তবে চাঁদখালী, গড়ইখালী ও দেলুটির উঁচু এলাকার কিছু জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। এবার কৃষকরা বারি সরিষা ১৪, ১৮, বিনা-৯ ও স্থানীয় জাতের সরিষা আবাদ করেছেন। সবমিলিয়ে উপকূলীয় উর্বর জমিতে চলতি মৌসুমে সরিষার আশানুরুপ উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

উপজেলার কপিলমুনির কাশিমনগর এলাকার কৃষক ও স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য শেখ রবিউল ইসলাম, গোপালপুরের আনছার আলী, আব্দুস সামাদ, হিতামপুর জিয়া সরদার, সলুয়ার শহিদরা জানান, তাদের আবাদকৃত সরিষার ফলন খুব ভালো হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ একরামুল ইসলাম জানান, আবহাওয়া জনিত কারণে উপজেলার অনেক এলাকায় দেরিতে আমন আবাদ ও পরে ধান কাটতে দেরি হওয়ায় সরিষার আবাদে অনেক এলাকায় দেরিতে হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে কৃষকরা যদি আগাম জাতের ধান চাষ করে তাহলে ধান কর্তনের পর সময়মত সরিষা চাষে পূরা সময় পাবে।

এ ব্যাপারে কৃষকদের আগাম জাতের ধান চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে বলে দাবি করে তিনি আরো বলেন, উপকূলীয় এলাকার নিচু জমিতে জো আসে দেরিতে সে জন্য ফসল লাগাতেও দেরি হয়। এবছর উপজেলায় সরিষার আবাদ ভালো হয়েছে।

প্রাকৃতিক কোন বিপর্যয়ের সৃষ্টি না হলে সরিষার আশানুরুপ ফলন পাওয়া যাবে বলেও আশাবাদ কৃষির এ কর্মকর্তার।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!